চকরিয়া পৌরসভার বহুল আকাংখিত নির্বাচন কাল রবিবার। প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত চকরিয়া পৌরসভার এটি হচ্ছে ৪র্থ নির্বাচন। পৌর পিতা কে নির্বাচিত হচ্ছেন সেই অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন ৪২ হাজার ৩০৬জন ভোটার। প্রচারকালে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটায় সুষ্ট নিার্বচন নিয়ে শংকা জাগলেও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পরিবেশ শান্ত হয়ে উঠে। ফলে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার আশা জেগেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট আদায়ের লক্ষ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলায় ভোটারদের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করতে রিটার্ণিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন ও সহকারী রিটার্ণিং অফিসার করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেনকে। এই দুই কর্মকর্তা ইতিমধ্যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে ব্যালট পেপার ও ভোট বাক্স হস্তান্তর করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। ফলে, আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা ব্যালট ও বাক্স নিয়ে স্ব-স্ব কেন্দ্রে চলে গেছেন বিকালে। প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ট ও সুশৃংখল ভোট আদায়ের লক্ষ্যে এনক্লোজার তৈরী করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মেছবাহ উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারদের। নির্বাচন কমিশন সচিব বলে গেছেন, ব্যালেটে কেউ হাত দিলেই কেন্দ্র বন্ধ ছাড়াও গুলির অনুমতি দিতে পারবেন প্রিসাইডিং অফিসাররা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মেছবাহ উদ্দিন আরো বলেন, সুষ্ট নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ জন আনসার ও অফিসারসহ ৯ জন পুলিশ (প্রয়োজনে বাড়বে) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের ৬টি মোবাইল টিম, ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৬৪ সদস্যের ২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৬টি টিম প্রতিটি কেন্দ্রের সড়ক বা কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করবে। গতকাল শনিবার বিকাল থেকেই র্যাবের ৪টি টিম ও বিজিবি সদস্যসহ পুলিশের মোবাইল টিম মাঠে নেমে গেছেন। র্যাবের অপর দুটি টিম আজ রবিবার সকালে চকরিয়ায় আসবেন বলে ককক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ফেরদৌস আহম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তাদের নির্দেশনা দিতে সাথে থাকবেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
এদিকে, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের আলমগীর চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে ও বিএনপি’র নুরুল ইসলাম হায়দার ধানের শীষ নিয়ে পৌর পিতা হতে লড়ছেন। এছাড়া তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২০ জন নারী ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন
পাঠকের মতামত: